বগুড়ার ধুনটে চেতনানাশক পদার্থ মিশ্রিত চানাচুর, বিস্কুট এবং জুস খাইয়ে বৃদ্ধা নানীকে অজ্ঞান করে তার নাতনিকে (১৬) ধর্ষণচেষ্টার মামলায় মো: খায়রুল ইসলামকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত খায়রুল ইসলাম উপজেলার মাঠপাড়া মো: কমর উদ্দিন সেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মা ও বাবা জীবিকার তাগিদে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে বসবাস করেন। ওই মেয়েটি তার বৃদ্ধা নানীর সাথে মাঠপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকে।
ওই মেয়েটিকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম। এ বিষয়টি মেয়ের পরিবার খায়রুলের পরিবারকে জানায়। এতে মেয়েটির উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে খায়রুল। এরপর গত রবিবার (০৩ মার্চ) রাত ৭টার দিকে খায়রুল ও তার সহযোগী একই গ্রামের মো: সাদেক হোসেনের সাথে চানাচুর, বিস্কুট এবং জুস নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়িতে যায়।
তারা বিভিন্ন কৌশলে ওই মেয়েটির নানীকে চানাচুর, বিস্কুট ও জুস খাওয়ালে কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়ে নানী। এ সুযোগে খায়রুল ওই মেয়েকে তার নানীর ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে।
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসলে খায়রুল ইসলাম এবং সাদেক হোসেন পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির স্বজনরা অচেতন অবস্থায় বৃদ্ধা নানীকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খায়রুল ও সাদেককে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মো: খায়রুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
নানীকে অজ্ঞান করে নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টায় এক যুবক আটক, এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সৈকত হাসান জানান, ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।