বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ধুনটমোড় এলাকায় পৌর ট্রাক টার্মিনালে মালিক সমিতি স্থাপন করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির ব্যানারে এই স্থাপনা করা হয়েছে। তবে এই স্থাপনা পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে অবৈধভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ধুনটমোড় পৌর ট্রাক টার্মিনালের জায়গায় মালিক সমিতির ব্যানারে রাতারাতি অবৈধভাবে স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পৌরকর্তৃপক্ষের।
এ ঘটনায় পৌরসভা থেকে
এ ঘটনায় পৌরসভা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করে একটি লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে এবং ০১ অক্টোবর পৌর পরিষদ মিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে
সরেজমিনে জানা যায়, অতিতে টার্মিনালের একটি বিল্ডিংয়ে মালিক সমিতির অফিস ছিলো যা পরবর্তীতে ঢাকা-বগুড়া ৪ লেন মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণের কারনে বিল্ডিং টি ভাঙ্গা পরে। এর পর মালিক সমিতি টোলার গেট সংলগ্ন নিজেস্ব কার্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছিলো।
মালিক সমিতির নেতা মো: শাহজামাল জানান, মেয়রের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের কার্যালয়ের ব্যাপারে কথা বলেছি। তিনি আমাদের কার্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর আমরা নিজেরাই অস্থায়ী ভাবে বসার ব্যবস্থা করে নিয়েছি।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: তারিকুল ইসলাম তারেক
এ বিষয়ে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, পৌর ট্রাক টার্মিনালে অস্থায়ী কার্যালয় করা হয়েছে। অতিতে পৌরসভা থেকে লিজ নিয়ে টার্মিনালে একটি বিল্ডিংয়ে মালিক সমিতির অফিস পরিচালিত হচ্ছিলো, বর্তমানে বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখন সেই জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ট্রাক টার্মিনালের কোন কাজ শুরু করা হলে আমাদের কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া হবে।
মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো: আলমগীর কবির
তবে মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো: আলমগীর কবির জানান, ২০১৮ সালে সর্বশেষ মালিক সমিতির দ্বি-বাষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই মেয়াদকালের পর থেকে মালিক সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মালিক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কিভাবে এই কার্যালয় পরিচালিত হতে পারে তা আমার জানা নেই।
পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি জানান, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন
পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন বলেন, পৌরসভার সম্পত্তিতে অবৈধভাবে জবরদখল করে স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। পৌরসভাকে অবগত না করে কিভাবে তারা এই স্থাপনা নির্মান করলো তা বোধগম্য নয়।
পৌর মেয়র
এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা জানান, প্রাথমিক ভাবে ঘর নির্মানের কথা শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেও সেখানে জোরপূর্বক ভাবে কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত সহযোহিতা চেয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা জানান, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।