বগুড়ার শেরপুরে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে তার ৭ বছরের শিশু মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শেরপুর শহরের ধুনটমোড় এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী মো: স্বপন মিয়াকে (৪০) অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বপন মিয়া পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শিশুটির মায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায়। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে ৭ বছরের শিশু মেয়েকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ্ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ দিন আগে ওই নারী শেরপুর শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে আসেন। এসময় শহরের ধুনটমোড় এলাকার অভিযুক্ত ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী স্বপন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বপন মিয়া মা-মেয়েকে নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় দেয়।
এদিকে গত শুক্রবার দুপুরে ওই নারী মেয়ের খাবার কিনতে বাড়ির পাশে হোটেলে যান। এই সুযোগে স্বপন শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বাড়িতে ফিরে শিশু মেয়েকে বির্বস্ত্র অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত স্বপন তাকে দেখে দৌঁড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলেন।
বগুড়ার শেরপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত স্বপন মিয়াকে আটক করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়াও রবিবার (১৭ মার্চ) শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।