দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময়েও অনেকেই এখনও কেবল ভাঙার কাজে ব্যস্ত, কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন,“অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ পুরোনো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙা যাবে না, বরং ভাঙতে গেলে আরও বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে।”
তিনি জানান, এখন সময় গড়ার। “আবার সময় আসবে যখন, তখন ভাঙা যাবে। কিন্তু, এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।” তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের অপ্রস্তুতি ছিল। বিহ্বলতা আর অনভিজ্ঞতা মিলে আমরা ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের পূর্ণাঙ্গ বিলোপ ঘটাতে পারিনি। কিন্তু, রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের হাজির করতে পারলে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পথ খুলবে।”
পোস্টে মাহফুজ আলম সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানালেও মানবাধিকার রক্ষার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, “সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু, নাগরিক হিসেবে সকলের মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোনও এলাকাকে Ghetto বানানোর চেষ্টা করবেন না।”
তিনি গোপালগঞ্জের নিম্নবর্গীয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে বলেন, “তারা লীগের আমলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছেন। আমাদের উচিত, বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সাথে মৈত্রী করা।”
ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “হাসিনার পরাজয় রাজনৈতিক না কেবল, নৈতিকও বটে। নৈতিক পরাজয়ের পরই তার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটে। ফলে, আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে নৈতিক উচ্চতা হারাতে পারি না।”