বগুড়ার শেরপুরে অপহরণের ঘটনার ৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১১ মার্চ) রাত দেড়টায় তাকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের চন্ডেশ্বর গ্রামের গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় কুমার রায় (৩০)। তিনি কুসুম্বী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের যতীন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
সঞ্জয়ের স্ত্রী সুনয়নী রায় বলেন, তার স্বামীর সঞ্জয় রায় একজন কৃষক। এবছর দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। আলু বিক্রির ২৫ হাজার টাকা আনতে সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে শেরপুর শহরে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে শেরপুর পৌর শহরের কলেজরোড এলকায় তিনি অপহৃত হন।
রাতে মুঠোফোনে তিনি তার স্ত্রীকে জানান, তাকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে।তিনি এলাকাটি চিনতে পারছেন না। সঞ্জয় রায়ের সন্ধান পেতে তাঁর স্ত্রী সুনয়নী রায় প্রথমে জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে ঘটনাটি জানান। পরে সোমবার রাতেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সঞ্জয়কে উদ্ধারে অনুসন্ধান শুরু করে।
রাত দেড়টায় তাকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের চন্ডেশ্বর গ্রামের গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার স্বামীকে শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তার স্বামীর কাছে থাকা আলু বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এ সময় তিনি খোঁজ করেও পাননি। ওই রাতেই তিনি স্বামীকে বাড়ি ফিরে আনেন।
সঞ্জয় রায় বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় তিনি আলু বিক্রির ২৫ হাজার টাকা নিয়ে শহরের কলেজ রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অপরিচিত তিন যুবক তার পিছু নেয়। তাদের একজন পিছন থেকে তার নাক ও মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরেন। এরপর থেকে তার আর কোনো জ্ঞান ছিলনা। জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি মুঠোফোনে তার স্ত্রীকে জানান। তার কাছে থাকা আলু বিক্রির টাকা কারা নিয়েছে তাও তিনি জানেন না।
চন্ডেশ্বর গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, “সোমবার রাতে আমি বাড়ি ফিরে দেখি সঞ্জয় আমার বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। সঞ্জয় কিভাবে তার বাড়িতে এসছেন তা তিনি বলতে পারেননি।
অপহরণের ৬ ঘন্টা পর যুবক উদ্ধার, এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশি অনুসন্ধান চলছে।