বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই স্থানীয় সাংসদ সহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোঃ মজিবর রহমান মজনু (৭০), সাবেক এমপি মোঃ হাবিবুর রহমান (৭৮), শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ছরোয়ার রহমান মিন্টু, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসিফ ইকবাল সনি, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদ (৫৫) সহ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ১৪৭ জন এবং আরও অনেক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের রিফাত সরকার (২২) শেরপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এর পরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম (৫২), একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক (৪৮), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫২), খন্দোকারটোলা এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৫) ও গড়েরবাড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৪)।
থানা পুলিশ ও দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই শেরপুরের ঢাকা বগুড়া মহাসড়কে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। মিছিলটি পৌরশহরের ধুনটমোড় এলাকায় পৌঁছলে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে অন্য আসামিরা মিছিলে আগ্নেয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এতে মামলার বাদি রিফাত সরকার গুলিবিদ্ধ ও অনেকে আহত হন। রিফাত সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে বাদীর লিখিত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে বিশেষ অভিযানে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনে আঘাতপ্রাপ্ত রিফাত সরকার বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। তিনি স্থানীয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।