গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রথমবারের মতো রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে গণ-জমায়েতের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলটির এই কর্মসূচি কঠোরভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকলীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে। শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টর পেস সচিব।
প্রেস সচিবশফিকুল বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ করার কোনও সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার কোনও সহিংসতা বা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনও প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব।
অন্যদিকে, আগামী রবিবার বিকেল ৩ টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এর আগে, শুক্রবার ০৮ নভেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নতুন কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি হাতে মিছিল বের করার নির্দেশ দেন।
ফোন আলাপরে আরও বলা হয়, নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল করতে বলা হয়েছে। মিছিলে দলটির নেতকর্মীদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এই বিক্ষোভ সমাবেমে যদি কেউ যদি বাধা দেয় বা কেউ কোনো হামলা করে। তাহলে সেটা যুক্তরাষ্টের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আমাদের আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিকট পাঠাবো। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
অডিও কলে শেখ হাসিনা বলেন, সমাবেশে বাধা দেওয়ার ছবি ট্রাম্পের কাছে পাঠিয়ে বলা যাবে দেখো ইউনূস সরকার কী করছে। ইউনূস তো দেশের সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার। ২৫০ জন এসআইয়কে (ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর) চাকরি দিল না, তাদের বের করে দিল।
তিনি আরও বলেন, গতকালকের সমাবেশে ভালো লোক যেন জমায়েত হয়, সে ব্যবস্থা তোমরা করবা। বিক্ষোভ মিছিলে নূর হোসেনের ছবি থাকবে। স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা এই প্লেকার্ড রাখবা। দেশে আমাদের প্রচুর ঘরবাড়ি ও দোকান-পাট পোড়ানো হয়েছে। এর তথ্য বের করতে হবে। আমরা এর সকল হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় করে নেবো।