চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের পর চেন্নাইয়েও নিজের বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে না পারা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হলো টাইগার অলরাউন্ডারকে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বোলারের অ্যাকশন প্রথমবার অবৈধ ঘোষণার পর আগামী ২বছরের মধ্যে আরও একবার নিষিদ্ধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি পরের ১ বছর আর বোলিং করতে পারবেন না। এমনকি ওই ১ বছরের মধ্যে তিনি বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পরীক্ষাও আর দিতে পারবেন না।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এই সংস্থাটির মনোনীত কোনও সেন্টারে পরীক্ষা দিয়ে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতার ছাড়পত্র না নেওয়া পর্যন্ত সাকিব আল হাসান কেবল ঘরোয়া ক্রিকেটেই বোলিং করতে পারবেন তিনি। তবে সাকিব বোলিং অ্যাকশন ঠিক করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। যখন মনে হবে তার বোলিং অ্যাকশনে আর সমস্যা নেই, তিনি তখনই আইসিসির অনুমোদিত কোনও সেন্টারে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারবেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চেন্নাইয়ে পরীক্ষায় বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হয়েছে সাকিব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় সাকিব আল হাসান উত্তীর্ণ হলে তার ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। তবে এর আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না তিনি, খেলতে হবে কেবল ব্যাটার হিসেবে।