বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন শাক-সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরো অস্থির হয়ে উঠেছে তেল ও চালের বাজার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মাঘের মাঝামাঝি সময়ে এসে রাজধানীর বাজারগুলোতে সরবারহ বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির। হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও বেশিরভাগের দামই কমেছে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা ও পটোল ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ টাকা ও শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের দামও কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচের প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আর পাইকারিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, মেথি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে যা কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকা ও আড়তে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।
কেজিতে ৫ টাকা কমে খুচরায় বাজারে প্রতি কেজি পুরান দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ১০০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায়।
তেলের বাজারেও একই অবস্থা। দাম বাড়ানোর ১ মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাতকৃত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত করা ৫ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। হাতে গোনা ২/১টি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আর বোতলজাত করা সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা যায়। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।