চলতি মাসেই ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে । এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করেছে খসড়া নীতিমালা, যেখানে কোটা ব্যবস্থায় আসতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তন। নতুন করে যুক্ত হতে পারে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা, আর বাদ পড়তে পারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নীতিমালায় আলোচনায় আছে জুলাই শহীদ পরিবার ও অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য সীমিত হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব। বিশেষ করে এবারে এসএসসি উত্তীর্ণ বেশ কয়েকজন জুলাইযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রায় ৫৫ বছর পর এসে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কোটা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষা প্রশাসনের একাংশ। তারা মনে করেন, বর্তমানে এ কোটায় সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে এসেছে। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত পোষ্য কোটা নিয়েও আপত্তি রয়েছে বোর্ডগুলোর।
২০২৪ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, ৯৩% আসন উন্মুক্ত থাকে মেধাভিত্তিক ভর্তির জন্য, ৫% সংরক্ষিত থাকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ও ২% রাখা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরের পোষ্যদের জন্য।
তবে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ৭ শতাংশ কোটা কাঠামো বাতিলের সুপারিশ করতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তারা মনে করছে, বর্তমান বাস্তবতায় কোটা না রাখার পক্ষেই যুক্তি বেশি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা এখনই সব কোটা বাতিল করতে চাইছে না। বরং সামাজিক বাস্তবতা ও সমসাময়িক ইতিহাসের গুরুত্ব বিবেচনায় নতুন করে কিছু কোটা যুক্ত করার কথাও ভাবছে। এরই অংশ হিসেবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, “একাদশ শ্রেণির ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।”
খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত, অনুমোদন বাকি, কোটা নিয়ে আলোচনা চলছে, জুলাই কোটা যুক্তের পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।