কুমিল্লার তিতাসে সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছেলে নবীর হোসেন । মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ জুন) সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শান্তি মিয়ার স্ত্রী। শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
শান্তি মিয়ার অনেক বয়স হয়েছে, তিনি উপার্জন করতে পারেন না। সংসার খরচের টাকার জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচের কোন টাকা দেন না।
এতে করে কিছুদিন পর-পরই বড় ছেলে নবীরের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ঝগড়া লেগেই থাকতো। এর আগেও বেশ কয়েকবার সংসার খরচের টাাক নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে সাংসারিক খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। এরপর শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করে তার ছেলে নবীর।
এ সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে তার মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোজকজন এসে তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেণ।
কুমিল্লার তিতাসে সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃষ্ণ কান্তি দাস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি আমরা।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যু সঠিক কারণ জান যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জনান তিনি।