ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নেতার জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের গোমড়তা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওই নেতার নাম সন্তোষ কুমার সরকার। তিনি বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন ভবানীপুর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি। এছাড়াও তিনি ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত মেম্বার।
স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে সন্তোষ কুমার সরকার সরকারি ওই খাস জমি ভোগ দখল করে আসছিল। এবার তিনি জমিতে ধান লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রায় ১৭ জন শ্রমিক ধান কাটতে আসেন।
তাদের সাথে স্থানীয় কিছু লোকজন ছিলেন। তারা রামদা, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। প্রায় বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তারা সন্তোষ কুমারের জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। আতঙ্কে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। পার্শ্ববর্তী অম্বইল গ্রামের মো: হাফিজুর রহমানের লোকজন এসব করেছেন বলে জনান তারা।
সন্তোষ কুমার সরকার জানান, প্রায় ২ মাস আগে স্থানীয় এই গোষ্ঠি আমার দখলে থাকা সরকারি পুকুর থেকে মাছ তুলে নিয়ে যায়। তখন আইনের আশ্রয় নিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। এরপর থেকে আমি সপরিবারে গ্রামছাড়া। আজ আমার জমির ধান কাটার খবর পেয়ে পুলিশকে জানাই। কিন্তু ধান কাটা শেষ হলে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়েছে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আম্বইল গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, ওই জমিটি আমার নিজস্ব। আমার নামে নামজারি, রেকর্ড, খাজনা পরিশোধ সবকিছুই আছে। সন্তোষ সেটি জোরপূর্বক দখল করেছে। তাই আমি আমার লোকজন দিয়ে ধান কেটে নিয়েছি।
শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রকিব হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অনুসন্ধান করে ধানগুলো পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।