গোপালগঞ্জে নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার চলছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা অধিকাংশই সাধারণ মানুষ এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
রোববার (২০ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি
পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, “গোপালগঞ্জে আমাদের দলের নেতাদের আত্মীয়স্বজন, এমনকি ভ্যানচালক বা ছাত্রের ছোট ভাই পর্যন্ত বাদ যাচ্ছেন না। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হাটবাজার ঘিরে যেভাবে পুলিশ ধরপাকড় করছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অমানবিক।”
ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, “আমাদের একজন নেতার বোনজামাই, যিনি একজন ভ্যানচালক, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের এক ছাত্রনেতার ছোট ভাইকে বিনা কারণে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা আমাদের স্থানীয় নেতারা নিশ্চিত করেছেন।”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারাই এখন পলাতক, অথচ যারা ধরা পড়ছে, তারা সাধারণ মানুষ। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাইরে ঘুরছে, আর গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নিরীহদের, এটা কার ইশারায় হচ্ছে?”
তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশেরই অংশ। এখানকার মানুষ যদি বারবার নিপীড়নের শিকার হয়, তবে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভ যদি সশস্ত্র প্রতিরোধে রূপ নেয়, তার দায় কে নেবে? আমি পুলিশকে বলব,‘হাসিনার আমলের পুলিশ’ হয়ে উঠবেন না।”
রাশেদ বলেন, “বেশি বেশি গ্রেপ্তার দেখিয়ে সরকার বা দলকে খুশি করার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। অন্যথায়, এর মূল্য আপনাদেরও দিতে হতে পারে।”