পরকীয়া প্রেমিকাকে’ সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন ছেলে। যাত্রা থামাতে বিমানবন্দরে বোমা থাকার ভুয়া তথ্য দেন তার মা। ছেলের পরকীয়ার বিষয়টি জানার পর মা ও পুত্রবধূ মিলে সাজান এই পরিকল্পনা।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুল রহমান।
র্যাব জানায়, বোমা থাকার মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা তিনজনকে হয়েছে। তারা হলেন, ওই যাত্রী ইমনের মা, তার স্ত্রী এবং তার বন্ধু ইমরান। গ্রেফতারকৃতরা পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ বিমানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কক্ষে ফোন দেন, যাতে করে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।
র্যাবের ডিজি বলেন, “ইমন নামে এক ব্যক্তি তাঁর পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পারেন ইমনের স্ত্রী ও মা। তারা ইমনকে বাধা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেও তাকে ঠেকাতে পারেননি। এরপর ইমনের বন্ধু ইমরান পরামর্শ দেন, যদি বোমার হুমকি দিয়ে বিমানটি আটকে দেওয়া যায়, তাহলে এই যাত্রা বন্ধ হবে।”
পরে ইমনের মা সরাসরি ফোন করেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কক্ষে। সেখানে বোমা থাকার তথ্য দিয়ে আতঙ্ক ছড়ান। সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইটে শুরু হয় ব্যাপক নিরাপত্তা তল্লাশি।
ঘটনার পরপরই শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে বিমানবন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশ বিমানের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইটে তিন থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশি হয়। বোমা থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যয়নি। পরে ফ্লাইটটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে নিরাপদে ছেড়ে যায়।
শহিদুল রহমান বলেন, “এই ধরনের ভুয়া তথ্য শুধু জাতীয় বিমান সংস্থাকে বিপাকে ফেলে না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে। অতীতেও এমন কয়েকটি ভুয়া হুমকি এসেছিল, যেগুলোর পেছনে কোনো ভিত্তি ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “এমন গর্হিত কাজ করলে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কোনো নাগরিক যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু করতে না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করছি।”