শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (০২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরো তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন।
টলার ডুবিতে নিহতরা হলেন, ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার মো: শাজাহান বেপারীর স্ত্রী সাহানা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে জলি আক্তার (২৮)। এছাড়া এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন শাহাজান বেপারীর ২ ছেলে মো: শান্ত (২৬) ও মো: শাওন (১৮) এবং ভুলু বেপারীর ছেলে মো: হৃদয় (২৪)।
স্থানীয় ও বেঁচে ফেরা যাত্রীদের থেকে জানা গেছে, পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার মো: শাজাহান বেপারীর ছেলে মো: শান্তর বিয়ের কথা চলছিলো গোসাইরহাট মাঝেরচর এলাকার মো: দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে আয়রিনের সঙ্গে।
শুক্রবার সকালে বিয়ের কথা পাকাপাকি করতে গোসাইরহাট উপজেলায় আসেন শান্ত, তার পরিবার ও প্রতিবেশীসহ ৮ জন। বেল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা কোদালপুর লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারযোগে মোট ১১ জন কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাঝ নদীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়।
পরে আশপাশে থাকা জেলেরা নৌকা নিয়ে গিয়ে ৮ জনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক উদ্ধার হওয়া সাহানা আক্তার ও তার মেয়ে জলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দুর্ঘটনায় ছেলে শান্তসহ এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন ।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো: আব্দুল হাকিম খান জানান, মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুকি খবর পেয়ে মাদারীপুর থেকে ২ জন ডুবুরি এনে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করি।
এখনো নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নদীর অতিরিক্ত স্রোত ও বৃষ্টিপাতে কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৮ জনের মধ্যে ২ জন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।