সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু হলে বাংলাদেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “পিআর চালু হলে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় নেতারা মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন। কেন্দ্র থেকে তালিকা করে যাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁরা মাঠের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। এতে রাজনীতি আরও এককেন্দ্রিক ও কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠবে।”
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে থেকে আমাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন আমাদের কোনো আচরণে কষ্ট না পান, সেটি মাথায় রাখতে হবে। দখলবাজি বা চাঁদাবাজির মতো নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যেন বিএনপির কেউ জড়িত না থাকে।”
দীর্ঘ আন্দোলন ও দমন-পীড়নের কথাও তুলে ধরেন রিজভী। তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা দুঃসহ সময় পার করেছেন। কোনো তরুণ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেনি। অনেকের লাশ ভেসে উঠেছে তিস্তা, পদ্মা বা বুড়িগঙ্গার পাড়ে। কেউ শেখ হাসিনার করাল গ্রাস থেকে নিস্তার পায়নি।”
তিনি শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “তাঁর বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়া আন্দোলনের পেছনে শক্তি জুগিয়েছিল। তাঁর মতো সাহসী তরুণদের কারণেই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম গতি পেয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর মেডিকেল কলেজের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদুল হক সরকার, রংপুর ড্যাব মহানগরের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ, ডা. এবিএম মারুফহাসান, ডা. আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, ডা. খালেকুজ্জামান ও ডা. মো. হাসান আলী প্রমুখ।