সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর রাত তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ফেরেন আবদুল হামিদ। বিমান থেকে নামানোর সময় তাঁকে হুইলচেয়ারে করে আনা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে জানান, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে প্রবেশ করেছেন।
এর আগে, গত ৭ মে দিবাগত রাতে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তখন তাঁর বিদেশ যাত্রা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দেয় একটি মামলা।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির অভিযোগে আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও রয়েছে। মামলা হয় ১৪ জানুয়ারি, কিশোরগঞ্জ থানায়।
সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাত্রার পর এ নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সব মিলিয়ে আবদুল হামিদের এই সফর এবং ফেরাকে ঘিরে চলছে নানা প্রশ্ন ও প্রতিক্রিয়া। যদিও তাঁর ফেরার সময় কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, তবু এটি নিঃসন্দেহে একটি ‘নজরকাড়া’ প্রত্যাবর্তন।