অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতি রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্মের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যুমুনায় যাচ্ছিলেন।
মিছিলটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পৌছাঁলে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
আন্দোলনরত জাবি শিক্ষার্থী অদ্রিতা রয় বলেন, আজকে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে মিছিলের সামনের সারিতে নারীরা ছিল ওই মিছিলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পালিত পুলিশের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে। এই রমজান মাসে আমাদের নারীদের পোশাক ছেঁড়া হয়েছে। মেয়েদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অশিকার করে বলেন, বিক্ষোভকারী পদযাত্রা করার কথা বলেছেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তাবে তারা হঠাৎ করে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের বাধা দেই এবং বলি আপনাদের কোনও কথা থাকলে ৫ জন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে পাঠান।
এতে তাদের একটা পক্ষ রাজি হলেও অন্য আরেকটা পক্ষ ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে দেয়। এসময় পুলিশে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তবে আমরা কোনোভাবেই আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে (এসি) তারা ব্যাপক হারে পিটিয়েছে, তার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। তবে এসময় আমাদের হাতে লাঠি ছিল না। আমরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্রেনেড কিছুই ছুড়িনি। এ অবস্থায়ও তাদের আটকানোর চেষ্টা করি কিন্তু তারপরও তারা আমাদের ৭/৮ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।