নড়াইলে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবাসহ ২৯৫ বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০/৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন দিসি। কাজী ইয়াজুর রহমান উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর এলাকার মো: শওকত কাজীর ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে , গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হলে তাঁদের পথরোধ করে, তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় হয়। পরে এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা উপজেলার লক্ষ্মীপাশা সেতুতে আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। তারা ছাত্র-জনতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন এবং ওই সেতুতে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। আশপাশের বাড়ি ঘর ও দোকানপাট এবং বাস ও ইজিবাইক ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটানায় ১৭ জনসহ অনেকে আহত হন। আসামিদের মধ্যে সরাসরি হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী নির্দেশদাতা ও ইন্ধনদাতা আছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে কয়েকজন গত ১৪ জুলাই মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমানকে হত্যার হুমকিও দেন এবং গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার অন্যতম সদস্য শেখ সজীবকে বেধড়ক মারধর করেন।
মামলার উল্লেখ্য আসামিরা হলেন, সাবেক সংসদ সদ্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তজা, লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম ফয়জুল হক, শিকদার আবদুল হান্নান ও সৈয়দ ফয়জুল আমির, সাবেক পৌর মেয়র মশিয়ূর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দীন। এই মামলায় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
নড়াইলে মাশরাফি ও তার বাবাসহ ২৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশিকুর রহমান জানান, মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহামানের এজাহারের ভিত্তিতে এই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরর্বর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।