নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘর থেকে একজোড়া কানের দুল, নাক ফুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় চোরের দল।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি নির্মণ করেন এক দিনমজুর। স্ত্রী ও ৩ সন্তানসহ তিনি সেখানে বসবাস করেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা কাজ করতে গেলে দুই-তিন দিন পর বাড়ি ফিরতেন ওই দিনমজুর।
২ দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে বাইরে চলে যান। এ সময় ৩ মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধূ। সোমবার দিবরগত রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ১ জন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও ২ জন ভিতরে প্রবেশ করে।
এদের মধ্যে ২ জন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবধূর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে ওই গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেন এবং পরে এ বিষয়ে চরজব্বার থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়ে চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছায়। মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত পুলিশ ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিল। সকালে ভুক্তভোগীদের চরজব্বার থানায় আনা হয়েছে।
তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি নির্যাতন মামলা দায়ের করা হবে এবং আসামিদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।