বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যদিয়ে আবারও ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এছাড়াও ১৪২ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে গণ-ভোটের বিধান পুনর্বহাল করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
রায় এর পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। এই কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে।
হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল করা হবে না।
আদালত আরও বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে সংবিধানের মূল কাঠামো। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
২০১১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই সময় বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি নাইমা হায়দারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেছিলেন। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন।