পাবনা সদরে দোগাছি এলাকায় এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মো: হাসমত আলী শেখ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। পল্লী চিকিৎসক পর পর ৪টি ইনজেকশন দিলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ব্যবসায়ী হাসমত আলী। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। পরে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর পুলিশ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
নিহত মো: হাসমত আলী পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মো: আবুল মজিদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মো: আতিকুজ্জামান ওরফে সুমন মহুরি দোগাছির ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের মো: আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ দিন ধরে বুকে ভীষণ জ্বালাপোড়া এবং যন্ত্রণায় ভুগছিলেন হাসমত। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েও আরাম পাননি। মঙ্গলবার বুকের ব্যথা এবং যন্ত্রণা আরও বেশি হলে পল্লী চিকিৎসক সুমনকে রোগী হাসমতের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুকে জ্বালা-যন্ত্রণার কথা শুনে চিকিৎসক সুমন রোগীকে দেখেই পর পর ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। এই ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথেই হাসমত আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এদিকে মৃত্যুর পর পরই অভিযুক্ত চিকিৎসকের ফার্মেসি ভাঙচুর করে এবং ওষুধ পুড়িয়ে দেন স্থানীয়রা।
এর আগে আপনার ভুল চিকিৎসায় আরও ২ জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আছে, চিকিৎসক সুমনকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, হাসমত আলী মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা সদরে ইনজেকশনে দেওয়ায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুর বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন মো: শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের কাছ থেকে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পল্লী চিকিৎসকদের কোনো অনুমতি থাকে না। এ জন্য ওইভাবে রোগীর রেজিস্ট্রারও থাকে না।
এমন ঘটনা যদি কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতালে হতো তাহলে রোগীর রেজিস্ট্রার থাকত। তখন আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত করতে পারতাম। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।