প্রেমের টানে নরসিংদীর হাজিপুরে প্রেমিক জাহিদ খানের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী। নরসিংদীর ছেলে জাহিদ খান পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে পারি জমান মালয়েশিয়ায়। সেখানে একটি খেলনার দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, ছোট থেকেই জাহিদের মোটরসাইকেলের প্রতি নেশা থাকায় তিনি মালয়েশিয়ায় কাজের ফাঁকে ইউটিউবে মোটর ব্লগিং করতেন। সেই সূত্রেই ফটোশুটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ান তরুণী রুহি রুহানার সাথে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে বন্ধুত্ব তারপর দুইজনের মন দেওয়া নেওয়া শুরু হয়। এরপর প্রেমের টানে জাহিদের সঙ্গে রুহি চলে আসলেন নরসিংদীতে। গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) মুসলিম রীতিনীতি অনুয়ায়ী বাঙালি সাজে হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ভিনদেশি তরুণীকে কাছে পেয়ে খুব খুশি প্রকাশ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। জাহিদ খান নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর এলাকার মৃত মো: বাচ্চু মিয়ার ছোট ছেলে।
জাহিদ জানান, প্রথমে রুহির পরিবার রাজি না হলেও পরে মালয়েশিয়ায় তাদের বিয়ে হয়। সেখানে জাহিদের পরিবারের সদস্যরা না থাকায় প্রেমিক জাহিদের সঙ্গে গত (১৫ জানুয়ারি) মালয়শিয়া থেকে নরসিংদীর হাজিপুরে চলে আসেন এই তরুণী। পরে গত সোমবার মুসলিম রীতিনীতি অনুয়ায়ী তাদের দুইজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। বাংলাদেশি ছেলের সঙ্গে ভিনদেশি তরুণীর বিয়েতে খুশি পরিবার ও এলাকাবাসী।
জাহিদের ভাই আশিক জানান, ওদের ভালোবাসার মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ভাবি খুবই দ্রুত আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে না তিনি কোনো ভিনদেশি নাগরিক, মনে হচ্ছে তিনি আমাদেরই আপনজন। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে পরিাবরের সবার সঙ্গে মেলামেশা করছেন।
মালয়েশিয়ান তরুণী রুহি রুহানা জানান, জাহিদের সঙ্গে ফটোশুট করতে গিয়ে পরিচয়, সেখান থেকে ভালোবাসা শুরু। আমাদের তিনবছরের প্রেমের সম্পর্ক। সে মানুষ হিসেবে খুব ভালো। সে আমার খুব যতœ করে। তার কাছে বাংলা ভাষা, খাবার বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়ায় বিয়ে হলেও ওদের পরিবারের সদস্যরা কেউ না থাকায় আমরা আবারও বিয়ে করেছি। নিজের পরিবারকে মিস করলেও এত বড় পরিবারে সবার সঙ্গে থেকে তাদের ভালোবাসায় সব ভুলে যায়। আমার বাংলাদেশের সবকিছু অনেক ভালো লাগে।