ময়মনসিংহে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে ডা. অপর্ণা বসাক নামের এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক খন্দকার মাহবুব এলাহীর নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার (২৬ জুন) বিকালে নিহতের মা জোসনা বসাক বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে ময়মনসিংহ শহরের পন্ডিতপাড়া এলাকার লাল দাস ভবনের নীচতলায় শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ডা. অপর্ণা বসাক।
নিহত অপর্ণা বসাক জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। বিগত প্রায় ১ বছর ধরে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে অপর্ণা বসাক তার নিজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি প্রেমিক খন্দকার মাহাবুব এলাহীর উদ্দেশে লিখেন, ভালো থেকো, আমি আর পারছি না, হয়তো আমিও সবার মতো হেরে গেলাম, তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম। এরপর সকালে নিজ কক্ষ থেকে অর্পণার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, খন্দকার মাহবুব এলাহী আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেসা করে। মাহবুব এলাহী আমার মেয়েকে বিয়ে না করে মনে আঘাত দেওয়ার কারণে দুঃখ ও কষ্টে আমার মেয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। আমার মেয়েকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত নারীর স্ট্যাটাসে ট্যাগ করা খন্দকার মাহবুব এলাহীকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত মাহবুব এলাহীর কোনো ঠিকানা নেই। ফেসবুক আইডিটিও ডিজেবল দেখাচ্ছে। আসামি খন্দকার মাহবুব এলাহীকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।