জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠ প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে এবং চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন. চুলিক-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সঙ্গে মূলত বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং আমাদের সংগঠনের গঠন, আদর্শ ও কর্মকাণ্ড নিয়েও তারা জানতে আগ্রহী ছিলেন। আমরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।”
তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র সামান্য সংস্কার নয়, এনসিপি চায় রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার। এই পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন হলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এনসিপি নির্বাচন করবে কি না, সেটিও দলীয়ভাবে পর্যালোচনার বিষয়।
নাহিদ বলেন, “আমাদের তিনটি মূল দাবি রয়েছে, যা আমরা স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেছি। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। কোনো পরিবর্তন ছাড়াই নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া হলে সেটি একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট হবে।”
মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা দেখছি মাঠ প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষ নিচ্ছে। চাঁদাবাজির মতো অপরাধেও প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে। এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। বলেন, “নিরপেক্ষ প্রশাসন, পুলিশ ও আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে না পারলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।”
নির্বাচনের সময়সূচি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত টাইমফ্রেম নাগরিক পার্টি প্রাথমিকভাবে সমর্থন করে। তবে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে বিচারব্যবস্থার রোডম্যাপ, সাংবিধানিক সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। শুধুমাত্র তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন আয়োজনের কোনো বাস্তবতা নেই।”