বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৮ দিন পর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম (১৩)।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে মারা যান জুনায়েদ। সে বগুড়ার উপশহর এলাকার পথ পাবলিক স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
জুনায়েদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার পরিবার গণমাধ্যমকে জানায়, শরীরে পুলিশের ছোড়া ৪ শতাধিক গুলি নিয়ে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছট-ফট করেছিলো জুনায়েদ। বেঁচে থাকার শত চেষ্টার পরও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে আমার আদরের সন্তানটা। আজ সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে জুনায়েদ।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর শিশু জুনায়েদ বন্ধুদের সাথে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে যোগ দেয়। এদিন বিকাল ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার মিছিল বগুড়া শহরের বড়গোলা থেকে সাতমাথা এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে সদর থানার সামনে পুলিশ ছাত্র-জনতার মিছিলে ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় জুনায়েদ। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জুনায়েদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।