বগুড়ার শেরপুরে সরকারি জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছে কিছু ব্যক্তি। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করার কারণে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মী শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে ফলপট্টি এলাকায় সরকারি জায়গায় দখল করে স্থায়ী ঘর নির্মান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য যান। সেখানে স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে “শেরপুরে সরকারী জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান” শিরোনামে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সেই সংবাদে জায়গা দখেলে জড়িত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরুর নাম উঠে আসে। এর জের ধরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উজ্জল ঘোষ (৩০) নামে একজন ব্যক্তি শেরপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি দীপক কুমার সরকারকে ফোন করেন। তিনি মাহবুবুল আলম হিরুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি তাকে জবাই করে হত্যা করার হুমকী দেন।
এ বিষয়ে দীপক কুমার সরকার বলেন, “আমরা সরেজমিনে স্থানীয় জগণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্যও গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। এমনকি আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। কিন্তু সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হত্যার হুমকী দেওয়া উদ্বেগজনক। আমরা সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু বলেন, “আমি কাউকে হুমকী দেওয়ার জন্য বলি নাই। কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কাউকে হত্যার হুমকী দিয়ে থাকে, তা দুঃখজনক। তবে এ বিষয়ে আমার কোন দায় নেই।”
হত্যার হুমকী দেওয়ার কথা স্বীকার করে উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “তখন আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিলো না। তাই অনিচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ আচরণ করেছি। এজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী।”
এবিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোজাউল করিম বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”