শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সদ্য চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার ফারজানাকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। উক্ত শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে মেডিকেল শিক্ষার্থী তামান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা, মা ও চাচা আলম গাজী।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভা কক্ষে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার তামান্নার হাতে ভর্তির সমুদয় অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় শিক্ষার্থী তামান্না ও তার পরিবার তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। শিক্ষার্থী তামান্না একই সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ফারজানা আক্তার তামান্না বলেন, আমার স্বপ্ন আমি একদিন সুচিকিৎসক হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবো।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় মনিটর, অ্যাব বরিশাল চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মামুন অর রশিদ, অ্যাব বরিশাল চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অ্যাব পটুয়াখালী চ্যাপ্টারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. রাহাত মাহমুদ, অ্যাব বরিশাল চ্যাপ্টারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. হাসিব মো: তুষার, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বাবলু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ফারজানা আক্তার তামান্না ২০২৩ সালে এইচএসসি পরিক্ষায় পাস করে অংশ নেয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়। তবে সেবার উত্তীর্ণ হয়েও তামান্না কোনও মেডিকেল কলেজে অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারেন নি। মানুষের কটুকথা ও হতাশাকে পেছনে ফেলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবারও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ৪৭২৮ তম মেধাতালিকা নিয়ে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পায় ফারজানা। এবারও অর্থের অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে তামান্না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার শিক্ষার দায়িত্ব নেন।