সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট আগের রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি ও ব্যাপক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিজ দলের প্রর্থীকে জেতানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম,দিনের ভোট আগের রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট কাউন্ট দেখানো, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে ক্ষমতার অপব্যবহারের নেতৃত্বও দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুদক জানায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে দলটির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত জড়িত ছিলেন। আর তাদেরকে সহয়তা করেছিলেন, সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম’সহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং র্যাব-পুলিশের সংশ্লিট কর্মকর্তারা। ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানোসহ নির্বাচনে নানা অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদকেও কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে। জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক।
দুদক আরও জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ এবং এই নির্বাচনের ফলাফল শিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।