বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক কর্মসূচিতে ককটেল হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আবু জাফর মজনুকে ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
৪ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে এসআই তোফাজ্জল জানান, গত ১ জুন তিনি শেরপুর উপজেলার ছোনকা বাজার এলাকা থেকে আবু জাফরকে আটক করেন। আটকের পরেই আবু জাফর উচ্চ আদালতের জামিননামা উপস্থাপন করলে পুলিশ তা যাচাই করে সঠিক বলে নিশ্চিত হয়। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে, তার পিতার জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসআই তোফাজ্জল বলেন, ঘুষের বিনিময়ে মুক্তির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এটি আমার পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা মাত্র।
একইসঙ্গে বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবু জাফরকে ছোনকা বাজার থেকে আটক করা হয়েছিল। আটক হওয়ার পর উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ যথাযথভাবে যাচাই করে সঠিক পাওয়া যায়। ফলে আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনুদ্দিনও এ অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আবু জাফর উচ্চ আদালতের আদেশে আট সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন। তাই তাকে নতুন করে আটক করার সুযোগ নেই। অথচ বিষয়টি নিয়ে একপেশে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে পুলিশের বক্তব্য উপেক্ষিত হয়েছে।”
ওসি মঈনুদ্দিন সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। পুলিশ প্রশাসন সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।