বগুড়ার শেরপুরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শেরপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার মৃত জিল্লুর রহমান মাস্টারের ছেলে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আরিফুর রহমান ওরফে শুভ (৩৫), উপজেলা কুসুম্বী ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (৩২) ও পৌর শহরের উলিপুর পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে মৃদুল (২৬)।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই মিছিলে হামলা চালান এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন।
এ ঘটনায় শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করলে, সেই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে সোমবার (২৩ জুন) রাতে শেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রহমান ওরফে শুভকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থী জি এম সিরাজের গাড়িবহরে বোমা বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে রবিবার (২২ জুন) রাতে ধাওয়াপাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেরপুরের ধুনটমোড়ে হামলায় আহত আন্দোলনকারী রিফাত সরকার বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে মৃদুলকে রবিবার (২২ জুন) রাতে উলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।