সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ঝুঁকি ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা ও পেনশন সুবিধা চালুর সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে ১০ সদস্যের শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের জন্য ১৯৭৪ সালের ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট’-এর আদলে একটি আলাদা আইন প্রণয়ন অথবা বিদ্যমান শ্রম আইনে নতুন অধ্যায় সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। এতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন এবং সম্প্রচারমাধ্যম (রেডিও, টেলিভিশন) সংশ্লিষ্টদের এক ছাতার নিচে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে সাংবাদিকদের জন্য লিখিত নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্মঘণ্টা, নিয়মিত ছুটি এবং নারী সাংবাদিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর রাখার প্রস্তাবও এসেছে। ক্যামেরার পেছনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরকে ‘চিত্র সাংবাদিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের বেতন নিয়মিত প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাসে পরিশোধ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট শ্রম পরিদর্শন অধিদপ্তরে পাঠানোর নিয়ম চালুর প্রস্তাব রয়েছে।
ঝুঁকি ভাতা, বিমা ও পেনশন:সব সাংবাদিকের জন্য ঝুঁকি ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা এবং পেনশন সুবিধা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে—যা সাংবাদিকদের পেশাগত জীবনে নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব আনতে ভূমিকা রাখবে।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক করতে তার সংস্কার ও কার্যকারিতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। এতে করে এই ট্রাস্ট প্রকৃতপক্ষে দেশের সব সাংবাদিকের কল্যাণে অবদান রাখতে পারবে।