সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উত্তরা-পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এর আগে, একই দিন দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়েরের আবেদন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আবেদনপত্রে বলা হয়, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘প্রহসন’ হয়েছে, যা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
মামলার আবেদনে নাম উল্লেখ করে অভিযুক্ত করা হয় ২০১৪ সালের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদসহ তিন নির্বাচন কমিশনার, তৎকালীন নির্বাচন সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে। পাশাপাশি অভিযোগ আনা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ সরকারি কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও।
২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য অভিযোগের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে। অভিযোগে বলা হয়, তারা ভোট কারচুপির মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন।
মামলার আবেদনে নিরাপত্তা সংস্থার কয়েকজন সাবেক প্রধান, বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই আবেদন জমা দেন। বিএনপির ভাষ্য, এই মামলার লক্ষ্য হলো ‘নির্বাচনী অনিয়ম ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের’ বিচার নিশ্চিত করা।