সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে হেরোইন রাখার দায়ে সাবিনা খাতুন (৩৭) নামের এক নারী মাদক কারবারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও একই মামলায় আসামি সাবিনা খাতুনকে চোলাইমদ রাখার দায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। রবিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির এ কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত সাবিনা খাতুন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল উত্তরপাড়া এলাকার মো: সাইফুল ইসলাম সরকারের স্ত্রী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রফার মো: রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের (১০ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল উত্তরপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুনের নিজ বাড়িতে হেরোইন, গাঁজা ও চোলাইমদ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে-এমন গোপন তথ্যের খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব-১২ সদস্যরা। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতা সাবিনা খাতুন কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় সাবিনার বাড়ী থেকে ৪৮ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ১৪ লিটার চোলাইমদ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১২’র ডিএডি প্রদীপ কুমার সাহা বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় আসামি সাবিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে সাবিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২ সদস্যরা। মামলা চলাকালীন ১০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। স্বাক্ষ্য-প্রমান শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় রবিবার সকালে সাবিনা খাতুনের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক নজির সাবিনা খাতুনকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। বিকেলে আসামী সাবিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড. মো: আব্দুর রহমান এবং আসামী পক্ষের অ্যাড. মো: নজরুল ইসলাম এই মামলাটি পরিচালনা করেন।