সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: আরাফাত আমিন তমালকে (২২) ক্লাসের মধ্যে গুলি করায় শিক্ষক ড. রায়হান শরীফেল নামে মামলা দায়ের করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা। এ ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় আহত তমালের বাবা বগুড়ার ধনুট উপজেলার ধামাচামা গ্রামের মো: আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে মো: আরাফাত আমিন তমাল সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার বিকেলে তমালের বন্ধু মো: আক্তারুজ্জামান ফোন করে জানায় তমাল হাসপাতাল ভর্তি আছে। এ খবর পেয়ে দ্রুত সিরাজগঞ্জে এসে ছেলেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেখেতে পান তিনি।
তমালের সহপাঠীরা বলেন, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ড. রায়হান শরীফ কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তিনি প্রায়ই সময় ব্যাগে পিস্তল নিয়ে ক্লাসে এসে অস্ত্র টেবিলের ওপর রেখে লেকচার দিতেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে অস্ত্র নিয়ে আসতে না করলে তিনি তাদের ভয়ভীতি এবং গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিকেল ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ক্লাসের সব ছাত্র-ছাত্রীদের অহেতুক বকাবকি করেন। বকাবকির একপর্যায়ে তার ব্যাগ থেকে ১টি পিস্তল বের করে আরাফাত আমিন তমালকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করেন। গুলিটি তমালের ডান পায়ের উরুর ওপরের অংশে লাগলে সে গুরুতর জখম হয়।
সিরাজগঞ্জে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীকে গুলি, এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, আহত ছাত্র তমালের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে পিস্তলটি দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেটি আগেই জব্দ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা গেছে পিস্তলটি অবৈধ। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।