স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা এই আদেশ প্রদান করেণ।
মাকসুদ হোসেন বন্দর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি কমিটির সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে (২০ জুন) সকালে চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবউদ্দিন আহমেদ।
গত ২৩ এপ্রিল মাকসুদ হোসেনে দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জের নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে আদালত মামলা রেকর্ড (নথিভুক্ত) করে বিষয়টি তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাকে নির্দেশ দেন। গত ২৪ এপ্রিল বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মাকসুদ হোসেন ১৯৯৮ সালে সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন এবং তাদের ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুলতানা বেগম তার ২য় স্ত্রী। মাকসুদ হোসেন এর আগে বিয়ে করলেও সুলতানা তা জানতেন না।
তাদের বিয়ের ২ বছর পর মাকসুদ তার স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে অর্থ আনতে চাপ দেন বলে অভিযোগ করেন সুলতানা বেগম। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত মাকসুদ তার স্ত্রী ও তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসে।
মাঝে মধ্যে তার স্বামী যোগাযোগ করতেন বলে অভিযোগ সুলতানার। এরপর ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে মামলা করতে বাধ্য হন তিনি।
ওই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন জানিয়ে মাকসুদের ২য় স্ত্রী সুলতানা বেগম অভিযোগ করেন, গত (২১ এপ্রিল) তার স্বামী মাকসুদের কয়েকজন বন্ধুসহ তার শ্বশুরবাড়িতে এসে পূর্বে করা যৌতুকের মামলাটি তুলে নেয়ার হুমকি দেন। এতে সুলতানা ও তার মেয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী মাকসুদ হোসেন তাদের মারধর করেন।