৫০০ টাকার জন্য ৫ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদকে ধাক্কা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়ার ২০ দিন পর তার মরদেহ ভেসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় শিশু মুজাহিদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাটাধোয়া পাড়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা ওই শিশুর মরদেহ শনাক্ত করতে ২০ দিন আগে ব্রহ্মপুত্র নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া শিশু মুজাহিদের পরিবারকে সংবাদ দেওয়া হয়। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার হওয়া শিশু নিখোঁজ মুজাহিদের বলে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১০ মে) দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ার মো: বাবুল আক্তারের ৫ বছর বয়সী শিশুপুত্র মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ৫০০ টাকার ১টি নোট নিয়ে বাড়ির পাশের একটি দোকানে যায়। এ সময় একই এলাকার মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: শামীম হোসেন (১৫) শিশু মুজাহিদের কাছ থেকে ওই ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়।
এ সময় মুজাহিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০০ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয় শামীম। তারপর থেকেই ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ ছিলো শিশু মুজাহিদ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পরদিন শনিবার (১১ মে) শামীম হোসেনকে আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, স্থানীয় লোকজন ব্রহ্মপুত্র নদে মুজাহিদের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।