নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের দাবি, চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে ভুক্তভোগীর বাবা-মাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ইব্রাহিম। পরে বিষয়টি জানতে পের এদিন রাতেই অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম (৫৫) পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি সুনামগঞ্জের বিঞ্চামপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি তারাব পৌর শহরের রুপসঅ বাঘবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় তানসেন নামের এক ব্যাক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। ওই একই এলাকায় ইব্রাহিম কাচাঁমালের ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন শিশুটিকে চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ইব্রাহিম। ওই সময় বিষয়টি দেখেন স্থানীয় এক নারী। পরে এদিন বিকালে ওই নারী বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের বাড়ি ঘিরে ফেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা। ওই স্থানীয় প্রভাবশালী রুবেল ও তানসেনের সহায়তায় ইব্রাহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে আমি কাজ থেকে বাসায় ফিরে শুনতে পারি আমার ৭ বছরের শিশু মেয়েকে ইব্রাহিম ধর্ষণ করেছে। আমি এখানে ভাড়া বাসায় থাকি। বাড়িওয়ালা তানসেন ও রুবেলসহ কয়েকজন মিলে আমাকে ৫ হাজার টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। আমি মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাই।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, আমিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢামেকে