লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে কিছুতে স্বস্তির দেখা নেই। একটি পণ্যের দাম কমলে আকেটির দাম বাড়ে কয়েক গুণ। কাঁচাবাজার নিয়ে এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষদের। মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে গেছে মাংস, মাছ, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে মাছ, মুরগি খামার ও ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাজারে কমে গেছে এসব পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০, করলা ৭০ থেকে ৮০, লতি ৬০ থেকে৮০, বরবটি ৬০, মুলা ৫০, কহি ৬০ টাকা ও পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি কচুরমুখী ৬০, পেঁপে ৩০ টাকা, শিম ২০০, টমেটো ১৬০ ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
আর প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০, পাটশাক ১৫, লাউশাক ৪০, ডাটাশাক ২০, মুলাশাক ২০, কলমিশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা ও পালংশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। মূলত বন্যার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায় এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
এদিকে বাজারে দাম বেড়ে গেছে প্রায় সব ধরনের মাছের। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এছাড়া চাষের তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, কোরাল ৭০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায়, চাষের শিং প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে খাসি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়।
নিত্যপণ্যের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ক্রেতারা জানিয়েছেন, লাগামহীন সবজির বাজার। বাজারে নিয়মিত মনিটরিং হয় না। এজন্য বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আর বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে।