কুমিল্লার লাকসামে মো: হানিফ মিয়া (২৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক মনির হোসেনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ মে) দুপুরের দিকে লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে মালেক মেম্বারের বাড়িতে অটোরিকশা চালক হানিফ মিয়ার গলাকাটা মরদেহ ও রক্ত দেখতে পায় প্রতিবেশী এক নারী।
এ সময় মনির হোসেন ও তার মা মঞ্জুমা বেগমকে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওই নারী চিৎকার দিলে ঘাতক মনির ও তার মা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে লাকসাম থানা পুলিশ হানিফ মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এরপর লাকসাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খানসহ ওই রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর এলাকা থেকে শনিবার (২১ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘাতক মনির হোসেনকে আটক করা হয়। নিহত হানিফ মিয়া নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের চাঁন্দগড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
কুমিল্লার লাকসামে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা’র বিষয়টি নিশ্চিত করে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাহাবুদ্দিন খান জানান, আটককৃত মনির হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ব্যাটারিচালিত বিভিন্ন অটোরিকশার ব্যাটারি চুরির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও পরবর্তীতে হানিফ মিয়ার অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
]তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।