চুয়াডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনক’কে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলতাপ হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান গণমাধ্যমে বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবা আলাতাপ হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সমাজে এই ধরণের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটাই ভুক্তভোগী কিশোরীর আশা।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী কিশোরীকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে ওই কিশোরী তার পেটে ব্যথা ও বমি অনুভব হয়। এরপর তার স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও তা উপকারে আসেনি। পরে ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে ভুক্তভোগী জানতে পারে যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে তার নিজ বাবা তাকে ধর্ষণ করে।