চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামের এক সেবিকাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন খুনি কবির। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহার করা ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনাটি ঘটে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো: নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাজিম উদ্দীন জানান, শনিবার রাতে নিজের কর্মস্থল ‘মা নার্সিং হোম’ ক্লিনিকে গলা কেটে হত্যার শিকার হন হাফিজা খাতুন। এ ঘটনার পর পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এদিন রাতেই নিহতের পিতা মো: শমসের আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একিট হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকাগামী একটি পরিবহনে এলাকা ত্যাগ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন নিহতের স্বামী মো: কবির হোসেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি কবির হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন পরকীয়া লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে আটককৃত কবির হোসেনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।