নওগাঁয় নির্বাচনী সহিংসতা, নৌকা প্রার্থীর ৩ কর্মীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪ আসনে মান্দা এলাকার মৈনম বাজারে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পৃথক মোট ৩টি মামলা করা হয়েছে। পুলিশকে মারধর ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মান্দা থানার (এস আই) মো: আশিকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় নৌকা প্রার্থীর ৭ জন কর্মী-সমর্থক এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় নৌকা প্রার্থীর ৩ কর্মী ও সতন্ত্র প্রার্থীর ১ কর্মীসহ ৪ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোজাম্মেল হক কাজী।
নওগাঁয় নির্বাচনী সহিংসতা, নৌকা প্রার্থীর ৩ কর্মীসহ আটককৃত ৪ জন হলো, মো: আশিক মন্ডল (২৭), মো: সাদ্দাম হোসেন (২৮), মো: আব্দুল হান্নান (২৬) এবং মো: আনোয়ার হোসেন (৩৮)। আটককৃত ৪ জনকে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করেছেন পুলিশ।
জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা তার (ট্রাক প্রতীক) এর নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন চন্দ্র বাদী হয়ে নৌকা প্রতিক এর প্রার্থীর ২৫ জন কর্মী-সমর্থক এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অপরদিকে একই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২২ জন কর্মী-সমর্থক এর নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নৌকা প্রতিক এর প্রার্থীর কর্মী মো: আব্দুল হান্নান। পৃথক মামলা হওয়ার পরই মান্দা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নৌকা প্রার্থীর ৩ জন সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১জন কর্মীকে আটক করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল শনিবার দুপুরে নওগাঁ-৪, মান্দা আসন এলাকা তথা মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার (ট্রাক প্রতীক) এর নির্বাচনী অফিসে ও প্রার্থীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট এর ঘটনা ঘটে। ঐ হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এসময় হামলাকারীদের থামাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ডিএসবি ওয়াচার সহ ৪ জন পুলিশ সদস্য।