সরকারি জায়গা বেদখলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমর্থনে ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর নির্মাণ করে জায়গা দখলে রেখেছে।
নওগাঁয় সরকারি জায়গা বেদখলে রাখার কারণে কৃষি বিভাগের জায়গা সঙ্কীর্ণ হতে চলেছে। জেলার রাণীনগর উপজেলার পারইল বাজারে কৃষি কোয়ার্টারের জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ঘর।
সরকারি জায়গা সঙ্কীর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সচেতন মহল। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কোয়ার্টারের জায়গায় ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর করে জায়গা দখলে রেখেছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৪ দশক আগে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের কৃষকদের উদ্দেশ্যে বাজারে কৃষি কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। সেখান থেকে কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ওই ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে কাজ করে আসছেন।
ভবন নির্মাণের ২ দশকের মাথায় কৃষি কোয়ার্টার ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে কোয়ার্টারটি অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন ওই কোয়ার্টারে কৃষকদের সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে এবং পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষি কোয়ার্টারের ১ তলা ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ওই কোয়ার্টারের সামনে থেকে পেছনে রয়েছে কৃষি বিভাগের বেশ কয়েক শতক জায়গা।
কোয়ার্টারের সামনে কৃষি বিভাগের জায়গা দখল করে অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দোকান গুলো দখলে রেখেছেন, স্থানীয় খগেন চন্দ্র, আনিছুর, হাসিম আলী ও রকিব নামের চার জন ব্যবসায়ী।
তারা টিনদ্বারা ঘর নির্মাণ করে বেশ কয়েক বছর ধরে দখলে নিয়ে আছেন। এছাড়াও স্থানীয় সুদেব নামে আরেক ব্যক্তি দোকান ঘরের ঢোক দিয়ে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে আছেন।
স্থানীয়দের অভিমত,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই ব্যবসায়ীরা কোয়ার্টারের জায়গা দখল করে আছে। এতে বিভিন্ন মহলকে ম্যনেজ করে তারা ঘরগুলো নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন।
অন্য কোন ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে ওইসব প্রভাবশালীরা তাদের নানাভাবে হয়রানি করেন। তাই কেউ মুখ খুলতে চান না। তারা বলছেন, এসব জায়গা দখলমুক্ত করে আবারও কৃষি কোয়ার্টার করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।
এ বিষয়ে দখলদারদের মধ্যে আনিছুর ও হাসিম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। সরকারি জায়গা পড়ে আছে তাই দোকান করে খাচ্ছি। কৃষি বিভাগ ছেড়ে দিতে বলতে জায়গা ছেড়ে দিব।
নওগাঁয় সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন, কৃষি কোয়ার্টারের জমিতে ব্যবসায়ীদের দোকান করার বিষয়ে শুনেছি। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।