পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে রাখা টাঙ্কের ভেতর থেকে মো: সালমান নামের ৪ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার আলোকচর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ট্রাঙ্কের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত ফয়সাল অনলাইন জুয়া খেলায় হেরে গেলে সালমানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। ফয়সাল পুলিশের কাছে এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নিহত শিশু সালমান আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের আলোকচর গ্রামের শিক্ষক মো: হাশেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা, চাচি ও চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মো: আনোয়ার হোসেন ওরফে শাহাদত (৪৮), তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৪০) এবং ছেলে ফয়সাল হেসেন (২৩)।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শিশু সালমান নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে নিহতের পিতা হাশেম আলীর ভাই মো: সাদ্দামের মোবাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপসে একটি এসএমএস আসে। এসএমএসে ওই ব্যক্তি বলে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পাশের গ্রামের আতাইকুলা থেকে সুজানগরগামী সড়কের হিজলতলা নামক এলাকায় রেখে সালমানকে আনতে বলা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আতাইকুলা থানায় অভিযোগ করা হয়।
পাবনায় চাচাতো ভাইকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়ে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগের পরই শিশুটির সন্ধানের কাজ শুরু করে পুলিশ। কললিস্ট ধরে সন্দেহভাজন শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সালকে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশু সালমানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ফয়সাল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপহরণের ২ দিন পর ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।