বগুড়ায় নানার বাড়িতে (মায়ের মামা) বেড়াতে গিয়ে বন্ধন (৫) নামের এক শিশু খুনের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় শিশু বন্ধনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুকুমার দাসকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। আটক সুকুমারের বাড়ি শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায়। তিনি এলএলবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
সরোজমিনে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদরের পীরগাছা বথুয়াবাড়ী এলাকার রবি দাস ও কাকলী রানীর পুত্র বন্ধন সরকার। সে স্থানীয় একটি কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তাদের আরো একটি কন্যাও সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় হরিবাসর শুরু হয়।
এ উপলক্ষে বন্ধন তার মায়ের সাথে নানার বাড়ি (মায়ের মামার বাড়ি) বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে খাবার খাইয়ে ঘরের বাইরে কাজ করছিলো মা কাকলী। পরে বন্ধনকে খুঁজতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ছেলেকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মা।
নিহত বন্ধনের বন্ধুর মা জানান, এক সঙ্গেই হরিবাসরে এসেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) হরিবাসর শেষ। এজন্য বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম। হরিবাসরে বসে থাকা অবস্থায় শুনি বন্ধনকে তার মায়ের মামা সুকুমা দাস গলাকেটে হত্যা করেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, স্থানীয় অনেকেই অভিযুক্ত সুকুমারকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু সুকুমার কালকেও হরিবাসরে প্রসাদ বিতরণ করছিলো। আবার সে এলএলবি পড়াশোনাও করছেন। তাহলে কীভাবে সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়। শিশু বন্ধনকে হত্যার ঘটনায় সুকুমারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
নিহত বন্ধনের মা কাকলী রানী জানান, ঘাতক সুকুমার দাস আমার মামা হয়। সে কীভাবে আমার ফুলের মতো শিশুটাকে গলা কেটে হত্যা করলো। ও মামা নামের কলঙ্ক। আমি তার বিচার চাই।
বগুড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৫ বছরের শিশুর খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো: শাহীনুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত সুকুমার দাসকে আটক করা হয়েছে। তবে কি কারণে সে শিশুটিকে হত্যা করলো তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।