বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সাবেক সাংসদ সহ ৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। শেরপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, ক্ষতিসাধন, হুমকি ধামকী, গুরুতর ও সাধারণ জখম করার অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে আসিফ রব্বানী সানভি সহ ৬৪ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধ সফল করতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের নের্তৃত্বে একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে তারা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং সরকারি কাজে বাধাদান, মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন, হুমকি ধামকি, গুরুতর ও সাধারণ জখম করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে আসিফ ইকবাল সানভি সহ ৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
আটক :
মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন ভোররাতে শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।
এরপরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে শেরপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় অবরোধের সমর্থনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেখান থেকে শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহ্ মোহাম্মদ কাউসার আলী কলিংস, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহাংগীর আলম জুয়েল (৪৩), রায়হান কামাল রূপক (৩০) ও নয়ন মিয়া সুমনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, গত বুধবার শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশে অবরোধ চলাকালীন সময় বিএনপির হামলায় আমি, শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক হোসেন আলী সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।