বাবাকে বাঁচাতে যাওয়ায় ১০ বছরের শিশুকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নরসিংদীর শিবপুরে বাবা মানিককে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। বাবা মানিককে বাঁচাতে দৌড়ে আসে ১০ বছরের ছেলে মিলন। এ সময় সন্ত্রাসীরা শিশুটিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে নিহত হয় মিলন।
শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিবপুর উপজেলার মানিকদী দড়িপারা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত মিলনের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার আরজি শেখ সিন্দুর গ্রামে। মিলন তার পরিবারের সাথে মানিকদী দড়িপারা গ্রামে এএমএল নামে ১টি ইটভাটায় বসবাস করতো।
বাবা মানিক বলেন, কিছুদিন ধরে তিনি মানিকদী গ্রামের এএমএল ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। পাশের অন্য ১টি ইটভাটায় লেবার সরদার হিসেবে কাজ করেন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার মো: মিজান।
তিনি আরও বলেন, মানিকের সাথে মিজানের দাদন ব্যবসা নিয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিককে তুলে নিয়ে যেতে এএমএল ইটভাটায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী পাঠায় মিজান। এ সময় তারা মানিককে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ধস্তাধস্তি হয়। এ দৃশ্য দেখে মিলন বাবাকে বাঁচাতে দৌড়ে যায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা অটোরিকশা দিয়ে শিশুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় আকাশ নামে ১ সন্ত্রাসীকে আটক করে মানিক। পরবর্তীতে মানিকের চিৎকার শুনে ইটভাটার লোকজন এসে আহত মিলনকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আটককৃত আকাশকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাবাকে বাঁচাতে যাওয়ায় ১০ বছরের শিশুকে হত্যার বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নরসিংদী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে মিলনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।