বগুড়ার শেরপুর থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ভুক্তভোগী নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন শেরপুর থানার এএসআই মোক্কাস আলী।
অভিযোগকারী মোছাঃ রুবি আক্তার ঊর্মী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা। তার বোন ঊর্মীলা খাতুনের জমি দখলের চেষ্টা এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। থানার পক্ষ থেকে এএসআই মোক্কাস আলীকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, তদন্তের নামে এএসআই মোক্কাস আলী দুই দফায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে না নিয়ে, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি রুবি আক্তারকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেন। কথা শেষে অসাবধানতাবশত তিনি ফোন কেটে না দিয়ে রেখে দেন। ফলে রুবি অপর প্রান্তে থাকা অবস্থায় এএসআই মোক্কাস আলীর গোপন কথোপকথন শুনতে পান, যেখানে তিনি অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন এবং তাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দিচ্ছেন।
রুবি আক্তার বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলেও মোক্কাস আলী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আমার বোনের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাদের জায়গা বিক্রি করে আপোষ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতেই স্পষ্ট, তিনি বিবাদীদের পক্ষে কাজ করছেন।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই মোক্কাস আলী। তিনি বলেন, “আমি নিয়ম মেনেই তদন্ত করছি। দুই পক্ষকে নিয়ে সোমবার থানায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে, না হলে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হবে।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মোক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আশিক খান বলেন, “বিষয়টি বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”