মাসুদ রানা লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আইয়ুব আলীর ছেলে। বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন মাসুদ রানা।
মাইক্রোবাসে যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে গেছে সন্ত্রাসীরা। নাটোরের লালপুরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে গেছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত হন মাসুদ রানা। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাসুদ রানা লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আইয়ুব আলীর ছেলে। বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন মাসুদ রানা।
স্থানীয়রা জানান, মাসুদ রানা প্রতিদিনের মতো বিলমাড়িয়া বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে অন্য একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাগসোশা গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে ১টি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি ওই মাইক্রোবাসের পাশে গেলে তাকে ছয় সাতজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে থানায় যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে উঠতে বলেন।
কারণ, জানতে চাইলে তারা তাকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় তার ডান পা ও ডান হাতের নিচের অংশ কুপিয়ে রগ কেটে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। পরে তাকে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় মাইক্রোবাসটি।
পথচারীরা মাসুদ রানাকে পড়ে থাকতে দেখে তার পকেটে থাকা মুঠোফোন থেকে স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মাসুদ রানাকে অপহরণের স্থান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর মহিলা কলেজের সামনে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক খোরশেদ আলম জানান, মাসুদ রানার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও ডান হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাথাতেও আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাসুদ রানার সঙ্গে এক স্বজন জানান, মাসুদ রানা বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। দুর্বৃত্তরা তার হাত–পায়ের রগ কেটে দিলেও তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা নেয়নি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।